ইতিহাস
বিভিন্ন সুত্রের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ষাটের দশকে বিদ্যালয়ের মূল বিল্ডিং এনিমি প্রোপারটি ছিল। ঐ সময়ে বিল্ডিংটি মহকুমা প্রশাসক অফিসের থার্ড (ঞযরৎফ) অফিসারের কোয়াটার হিসাবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৬৭ সালের প্রথম দিকে জনৈক সরকারী কর্মকর্তা নকল কাগজ সৃষ্টি করে এই সম্পত্তিটি আত্মাসাতের ষড়যন্ত্র করছিলেন। বিল্ডিং সংলগ্ন প্রতিবেশী তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক অফিসের নাজির ছিলেন মরহুম আব্দুল লতিফ। উনি বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন নাটোরের নেতৃবৃন্দ মরহুম আব্দুল সাত্তার খাঁন, চৌধুরী মরহুম কাজী আব্দুল মজিদ, প্রয়াত বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী প্রমুখকে অবহিত করেন। তারই প্রেক্ষিতে উক্ত নেতৃবৃন্দসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন কবি গজেন্দ্র নাথ কর্মকার, হাছেন উদ্দিন কবিরত বৃন্দাবন বিহারী বসাক সহ নাটোরের আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, নারী শিক্ষা প্রসারে নাটোর শহরে শুধুমাত্র একটি বালিকা বিদ্যালয় যথেষ্ট নয়। তাই এই শহরে আরো একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করা দরকার। বৈঠকে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১৯৬৭ সালে আগষ্ট মাসে বিদ্যালয়টি কার্যক্রম শুরু করেন। সেই সময়ে সদ্য অবসর প্রাপ্ত সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সহঃ প্রধান শিক্ষক বাবু মহেন্দ্র নাথ সাহা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। বিদ্যালয়টি প্রথমে শিশু শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চালনা করা হয়। ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি হাইস্কুলে পরিণত করা হয়। সেই ১৯৬৭ সাল থেকে যাত্রা করে বর্তমানে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১০৫৬ ছাত্রী এবং ১৬ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক ৫ জন কর্মচারী সহ সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন।বর্তমানে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হয় এবং বিদ্যালয়টি সম্পুর্ন সিসি ক্যামেরা ও প্রতিটি কক্ষে সাউন্ড সিস্টেম এর আওতাভূক্ত হওয়ায় নারীশিক্ষার এই বিদ্যাপিঠটি সম্পুর্নভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠানটি এই সত্য প্রমানে সক্ষম হয়েছে ” আমরা শ্রেষ্ঠ নই, কিন্তু ব্যাতিক্রম“।